এখন প্রশ্ন হলো ভারতের এই তীব্র বক্তব্যের পেছনে কারণ কী এবং তা কতটা গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত। একটি ব্যাখ্যা হলো এসব বক্তব্য মূলত দেশীয় রাজনীতির জন্য, বিশেষত শাসক দলের হিন্দু ভোটব্যাংককে উজ্জীবিত করতে এসে থাকতে পারে। কারণ, পাকিস্তানবিরোধী মনোভাব উসকে দেওয়া বিজেপির বহুদিনের কৌশল।
আগামী বছর বিহারে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নির্বাচন এবং তার পরপরই পশ্চিমবঙ্গে ভোট। মে মাসের সংঘাতে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে যখন মোদি সরকার চাপে, তখন এই যুদ্ধংদেহী ভাষণ দেশীয় রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা হতে পারে।
তবে এটিই একমাত্র কারণ নয়, ভারত এখনো মে মাসের সংঘাতে পাকিস্তানের হাতে পরাজয়ের ক্ষত মেনে নিতে পারেনি। পাকিস্তান তখন কয়েকটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান নামিয়ে দেয়, যা ভারতের জন্য ছিল বড় অপমান। তাই এই বক্তব্যগুলো হয়তো সেই পরাজয় ঢাকতে কিংবা প্রতিশোধের মানসিকতা প্রকাশ করার জন্য।
ভারতের এই মানহানির প্রতিকার করতে চাওয়ার মানসিকতা থেকেই আবারও কোনো ধরনের সীমান্ত অতিক্রম বা সামরিক অভিযান হতে পারে, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। ভারতীয় নেতারা এখন বারবার বলছেন, ‘যুদ্ধের নিয়ম ও সীমারেখা বদলে গেছে।’
Sangbad365 Admin 












