প্রথম ধাক্কাটা কাটিয়ে যখন চিকিৎসা শুরু হলো, তখন বুঝলাম, এই যুদ্ধ শুধু শারীরিক নয়, মানসিক, আবেগসংক্রান্ত, আত্মিক এক যুদ্ধ। প্রথমে বলা হয়েছিল ৬ সাইকেল কেমোথেরাপি, পরে তা গিয়ে দাঁড়াল ৮-এ।
প্রথম কেমোর পরেই আমার চুল পড়া শুরু করল। তারপর চোখের পাতা, ভ্রু, নখ—সব একে একে ঝরে যেতে লাগল। শরীরটা বদলে যেতে লাগল প্রতিনিয়ত, আয়নার সামনে দাঁড়ালে মনে হতো, এটা আমি তো না! নখ কালো, চামড়ার রং বদলে যাওয়া, দুর্বলতা, বমি, যন্ত্রণা—কিছুই বাদ ছিল না।
শুধু শরীর নয়, মনও একসময় বিদ্রোহ করতে শুরু করল। কখনো সারা দিন বিছানা থেকে উঠতে পারতাম না, আবার কখনো পুরো রাত নির্ঘুম কেটে যেত। অপারেশন, রেডিওথেরাপি, টার্গেট থেরাপি—প্রতিটি ধাপ যেন একেকটা যুদ্ধ।
রেডিওথেরাপির পর একটা সময় মনে হয়েছিল আমি বুঝি আর পারব না! শরীরটা বেঁচে আছে ঠিকই, কিন্তু মনটা যেন মৃতপ্রায়।
টার্গেট থেরাপির একপর্যায়ে আমার হার্টে সমস্যা দেখা দেয়। হাঁটতে পারতাম না, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হতো। একসময় মনে হলো—এই বুঝি সব শেষ! কিন্তু হাল ছাড়িনি।
Sangbad365 Admin 













