সব মিলিয়ে আঞ্চলিক ক্রোড়পত্রগুলো শুধু স্থানীয় বিষয়ের সংকলন নয়, এগুলো দেশের পরিবর্তন, উন্নয়ন ও মানুষের সাফল্যের ধারাবাহিক ইতিহাস হয়ে উঠেছে।
সৃষ্টিশীল পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জাতীয় দৈনিকে আঞ্চলিক ক্রোড়পত্রের সংযোজন কেবল একটি সম্পাদকীয় উদ্যোগ নয়—এটি বর্তমানের নানা চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা সংবাদপত্রশিল্পকে নতুনভাবে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করবে। এই উদ্যোগের প্রভাব বোঝা যায় তিনটি মূল কারণে।
প্রথমত, বিষয়বৈচিত্র্য—জাতীয় বিষয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখন পাঠকের সামনে আসছে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের অনন্য গল্প, স্থানীয় মানুষের জীবনযাপন, সাফল্য, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনা। এতে সংবাদপত্রের কনটেন্টে নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, আঞ্চলিক পাঠক—যাঁরা এত দিন জাতীয় সংবাদে নিজেদের এলাকার উপস্থিতি খুঁজে পেতেন না, তাঁরা এখন সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন। এতে পাঠকের সঙ্গে সম্পর্কও দৃঢ় হচ্ছে।
তৃতীয়ত, আঞ্চলিক বিজ্ঞাপন—স্থানীয় ব্যবসা ও উদ্যোক্তাদের জন্য এটি এক নতুন সুযোগ। তাঁরা এখন তাঁদের নিজস্ব অঞ্চলের পাঠকদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন একটি বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।
সব মিলিয়ে প্রথম আলোর এই উদ্যোগ সংবাদপত্রশিল্পে এক নতুন দিগন্তের সূচনা। প্রথম আলোর এই আঞ্চলিক সাংবাদিকতার মডেল বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। গত মাসে সংবাদ প্রকাশকদের বৈশ্বিক সংগঠন ওয়ান-ইফরায় নতুন প্রজন্মের পাঠক–সম্পৃক্ততা এবং ছাপা পত্রিকায় আঞ্চলিক বিজ্ঞাপনে সৃজনশীলতা—এই দুই ক্যাটাগরিতে প্রথম আলো বিশ্বসেরার পুরস্কার পেয়েছে।
তুহিন সাইফুল্লাহ, সম্পাদক, আঞ্চলিক সংবাদ
প্রথম আলো
Sangbad365 Admin 












